ইভটিজিং কে কেন্দ্র করে মেয়ের ভাইদের উপর হামলা।


 স্টাফ রিপোর্টার:

১৮/৭/২০২৫ শুক্রবার সকালে কোচিং থেকে বাড়ি ফেরার পথে মেয়ের পথ আটকানো কে কেন্দ্র করে মেয়ের মায়ের সাথে কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটে, উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক পর্যায় রাকিবের সহযোগী সন্ত্রাস সাগর চাপাতি ও রড নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে মেয়ের ভাই নয়ন ও অয়নের উপর। বাগেরহাট জেলার বাগেরহাট থানার নোনাডাংগা গ্রামের ১০ শ্রেণী পড়ুয়া এক অসহায় পিতার কন্যকে স্কুল ও কোচিংয়ে যাওয়ার পথে একই এলাকার ছেলে রাকিব( ২০) প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বিভিন্ন সময় সাগর শেখ ও মামুন শেখের মাধ্যমে রাস্তা ঘাটে উৎতক্ত করে আসছে বিগত মাস ছয়েক ধরে। মেয়ের মানসম্মানের কথা চিন্তা করে পরিবারের সবাই চুপ করে ছিলো, এবং চুপে চুপে মেয়ের বিয়ে ঠিক হওয়ায় আমি তানজিলা বাগেরহাট আসি। শুক্রবার আনুমানিক ১০/৩০ টার সময় দুই জায়ের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়। তারই জের ধরে সাগর চাপাতি ও পাইপ নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে। ঘটনা স্থলে আমি থাকায় ঠেকাতে গেলে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালি দেয় ও সাংবাদিকের মাইরে অমক করি বলে আমার উপর চাপাটি উচু করে কোপ দিতে গেলে আমি দৌড়ে সরে আসি, ভিডিও করতে গেলে আমার মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার সময় ভিডিওর সাউন্ড বন্ধ হয়ে যায়।এর পর থেকেই শুরু হয় অস্ত্রের ঝনঝনানি রাস্তায় মোহড়া পরবর্তীতে যুক্ত হয় ভাই মামুন ও তার পিতা মতিন শেখ, দফায় দফায় হামলা করে নিরিহ গরিব অসহায় পিতার দুই ছেলে ও স্ত্রী এর উপর। এবং সাগর ফোন করে যশোর থেকে ডেকে আনে সন্ত্রাস বাহিনি জিনের বাদশা জাদুকর কামরুল ও আওয়ামী লীগের দোশর কাড়াপাড়া ৪নং ওয়ার্ডের কৃষকলীগের রানিং সাধারণ সম্পাদক মনিরুল পাঠান এর ছেলে মোন্না পাঠান ও ভাগনে কামরুল ওরাএসে ঝাপিয়ে পড়ে নিরিহ পরিবারেরর উপর। আমি ভিডিও ধারণ করায় আমার উপর ও চড়াও হয় এবং গালিগালাজ করে,পরবর্তীতে স্থানীয় এক আওয়ামী নেতার ছেলে আমাকে ডেকে বলে ভিডিও করে কি করবেন আপনি মোবাইল যদি না থাকে তো, আমি বললাম মানে, তখন বলে যদি মোবাইল ভেঙ্গে ফেলি পাবেন ভিডিও, মোবাইল ভেঙ্গে ফেললে কিছু করার ক্ষমতা আছে আপনার, আপনি আমাদের সম্পর্কে কিছুই জানেন বা চেনেন না এমনভাবে হুমকি দিতে থাকে, তখন আমি আস্তে করে সরে আশি, তার পর থেকে পরিবার সহ এক পর্যায়ে ঘর বন্ধী হয়ে আছি।আর গালিগালাজ হুমকি ধামকি তো আছেই। এমতাবস্থায় এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তি গন একটা সুষ্ঠ সমাধানের জন্য উভয় পক্ষকে ডেকে ছিলেন তাদের কথাকে তোয়াক্কা না করে অদৃশ্য ইন্দোন দাতাদের সহযোগীতায় সাগর অভিযোগ দায়ের করে ভুক্তভোগী পরিবারের উপর। এবং পুলিশ ও আসে, এখন এই পরিবারের পাশে যদি প্রশাসনের সুদৃষ্টি বা সহযোগীতা না পায় তাহলে এই সন্ত্রাসীদের হাতে পুরো পরিবারটা শেষ হয়ে যাবে। এরই সাথে গণমাধ্যম কর্মী তানজিলার জীবনের নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

0 মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post a Comment (0)

নবীনতর পূর্বতন