রাজনীতিতে উত্তাপ, সংলাপ চলছে — জুলাইয়ের পথে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ

 

রাজনীতিতে উত্তাপ, সংলাপ চলছে — জুলাইয়ের পথে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ

অনলাইন ডেস্ক:

বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে এক ধরনের নীরব টানাপোড়েন। একদিকে সরকার ও বিরোধীদলের মধ্যে চলমান সংলাপ, অন্যদিকে অতীতের ঘটনা ও ভবিষ্যৎ নির্বাচন ঘিরে জনগণের উদ্বেগ বাড়ছে। নতুন সরকার গঠনের পর প্রথমবারের মতো বড় আকারে সব দলের সঙ্গে আলোচনা হলেও এখনো কোনো নির্দিষ্ট সমঝোতায় পৌঁছানো যায়নি।

সরকার বলছে, একটি জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে। তবে বিরোধীপক্ষের অভিযোগ—এই আলোচনার পরিবেশ একতরফা। তারা চাইছে, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা ফিরে আনা হোক।

এদিকে, জুলাই মাসকে ‘ঐতিহাসিক অভ্যুত্থানের’ মাস হিসেবে তুলে ধরছে একটি অংশ। ২০২৪ সালের জুলাইয়ের ঘটনাকে স্মরণ করে রাজধানীতে সমাবেশের ডাক দিয়েছে কিছু সংগঠন। তারা বলছে, এই মাসেই সাধারণ মানুষ রাজপথে নিজেদের দাবি জানিয়েছিল—তাকে স্বীকৃতি দেওয়া দরকার।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া ছয় মাসের সাজার খবরও বড় আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। “লাইসেন্স টু কিল” মন্তব্য ঘিরে দেওয়া এই সাজাকে অনেকে দেখছেন প্রতীকী বিচার হিসেবে। তবে সরকারপন্থীরা বলছে, এটি স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার সিদ্ধান্ত।

রাজনীতির এই জটিল প্রেক্ষাপটে দেশে নতুন কিছু দলও মাথা তুলছে। নাগরিক নয়জ, এনসিপির মতো প্ল্যাটফর্ম জনগণের মধ্যে ভিন্ন বার্তা ছড়াতে শুরু করেছে। তারা চাইছে এক ধরনের ‘নিয়ন্ত্রিত সংলাপের’ বাইরে গিয়ে সরাসরি মানুষের দাবি তুলে ধরতে।

সবমিলিয়ে বলা যায়, রাজনৈতিক অস্থিরতা থাকলেও এক ধরনের ধৈর্যের পরীক্ষা চলছে দেশে। আলোচনার মাধ্যমে সংকট নিরসনের পথ যতটা খোলা, ঠিক ততটাই স্পষ্ট যে জনগণ আর আগের মতো চুপ করে বসে নেই। তারা খুঁজছে ভবিষ্যতের এক স্বচ্ছ রাজনীতির পথ।

সামনের মাসগুলোয় সংলাপ, আন্দোলন ও আন্তর্জাতিক নজর সবই জটিলভাবে যুক্ত হতে চলেছে। এই পথের মোড় যে কেবল রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নয়, গণতন্ত্রের স্থায়িত্বকেও প্রভাবিত করবে—এতে কোনো সন্দেহ নেই।

নবীনতর পূর্বতন